একটি নির্দিষ্ট ভিউ পরিমাণ যদি না থাকে তবে অ্যাডসেন্স-এর জন্য যোগ্যতা পাওয়া কঠিন হবে। যদি আপনার ব্লগে সাধারণত দৈনিক ভিউ হয় তবে অ্যাডসেন্স একাউন্ট খোলার জন্য প্রায় দশ হাজার ভিউ লাগতে পারে। তবে এটি শুধুমাত্র একটি প্রাথমিক ধাপ এবং অ্যাডসেন্স স্থাপিত হওয়ার পরে আপনি আরও বেশি প্রতিষ্ঠানগুলি পাত্র হতে পারেন যদি আপনার ব্লগ এবং ভিউ সম্পর্কে ভাল প্রতিক্রিয়া থাকে।
আপনার ব্লগের জন্য অ্যাডসেন্স-এর জন্য যোগ্যতা পাওয়ার জন্য, আপনার ব্লগের বিষয় সম্পর্কে উচ্চ মানের লেখার সাথে সাথে একটি ভাল নিউজলেটার প্রস্তুত করুন এবং এটি সামগ্রী প্রচারে ব্যবহার করুন। সামগ্রীটি ইনফরমেটিভ এবং আকর্ষণীয় হতে হবে যাতে লেখার উপর আকর্ষণ এবং ভিউ বা সর্বনিম্ন ক্লিক রেট থাকা জরুরি। ব্লগ তৈরির নিয়ম
অ্যাডসেন্স-এর জন্য প্রয়োজনীয় ভিউ সংখ্যা একটি নির্দিষ্ট সংখ্যা না, বরং এটি ভিউ সংখ্যা এবং ওয়েবসাইটের মান উভয় বিবেচনায় নেয়া হয়। অধিক ভিউ সংখ্যা বেশি ট্রাফিক দেখায় যা অ্যাডসেন্স কার্যকরী হওয়ার ক্ষেত্রে ভাল হতে পারে, কিন্তু এটি একমাত্র ক্ষেত্র নয়। অ্যাডসেন্সের সাথে সংযোগ করতে আপনার ওয়েবসাইটে ভিউ সংখ্যা বেশি না, আপনার ওয়েবসাইটে উচ্চ মানের কন্টেন্ট থাকা প্রয়োজন।
অ্যাডসেন্স যোগ্যতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আপনি গুগল এডসেন্স প্রকল্পের ওয়েবসাইটে যাওয়ার মাধ্যমে সাধারণত প্রয়োজনীয় তথ্য পাবেন।
ব্লগ থেকে কি ধরনের আয় হয়
ব্লগ থেকে আপনি বিভিন্ন ধরনের আয় করতে পারেন। কিছু উদাহরণ হলো:
১। বিজ্ঞাপন আয়: ব্লগে অ্যাডসেন্স বা অন্য কোন বিজ্ঞাপন প্ল্যাটফর্ম এক্সেস করে অ্যাড দেখানো যায়। প্রতিটি ক্লিক বা ইমপ্রেশনে আপনি আয় করতে পারেন।
২। স্বতন্ত্র পণ্য বিক্রয় আয়: আপনি নিজে প্রস্তুত এবং উন্নয়নশীল কোনও পণ্য ব্যবহার করে বিক্রয় করতে পারেন।
৩। স্বতন্ত্র সেবা বিক্রয় আয়: আপনি নিজেই কোন নিউজলেটার প্রস্তুত করতে পারেন।
৪। এফিলিয়েট মার্কেটিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে পণ্য বিক্রয় করে আয়।
৫। স্পন্সরশিপ এবং প্রচারণার জন্য পেমেন্ট নেওয়া হতে পারে।
৬। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সংক্রান্ত পণ্য বিক্রয়ের জন্য কমিশন নেওয়া হতে পারে।
৭। স্বয়ংক্রিয় বিক্রয় পদ্ধতি ব্যবহার করে ব্লগে প্রকাশিত প্রোডাক্ট বিক্রয় করা।
৮। ডোনেশন বা স্ক্রিপ্ট ক্রিয়েটরের জন্য পেমেন্ট নেওয়া হতে পারে।
এছাড়াও ব্লগ লেখকরা সাধারণত ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে লেখার কাজ করে টাকা উপার্জন করতে পারেন।
ব্লগের যাত্রা শুরু হয় কত সালে?
ব্লগের যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৯৪ সালে। তখন একজন ওয়েব ডেভেলপার নামক জাস্টিন হলটন একটি নামহার ওয়েবসাইট চালালেন যেখানে তিনি নিজের জীবন সম্পর্কে লিখতেন। তখন তিনি ব্লগ শব্দটি ব্যবহার করেন না, তবে সেই ওয়েবসাইটটি বর্তমানে সম্পূর্ণরূপে একটি ব্লগ হিসাবে পরিচালিত হয়।
পরবর্তীতে ১৯৯৭ সালে জার্নালিস্ট জেন সিমন্স তার ওয়েবসাইট উন্নয়নের প্রস্তাব দিয়ে একটি ব্লগ চালু করেন। এটি প্রথম পাবলিক ব্লগ ছিল এবং তার সাথে সাথে ব্লগিং সারা বিশ্বের একটি জনপ্রিয় কাজ হিসাবে প্রচলিত হয়ে ওঠে।
ব্লগিং এর মানে কি?
ব্লগিং মূলত একটি লেখালেখির পদ্ধতি, যেখানে একজন লেখক তার মতামত, সংবাদ, জ্ঞান, অভিজ্ঞতা, প্রয়োজনীয় তথ্য ইত্যাদি লিখে তার ওয়েবসাইটে পোস্ট করে। ব্লগ লেখাগুলি অন্য সামাজিক মাধ্যম থেকে পোস্ট করা লেখার মতো নয়, বরং এগুলি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে পোস্ট করা হয়।
ব্লগিং এর মাধ্যমে একজন লেখক তার আলোচনা, বিচার, পরামর্শ, অভিজ্ঞতা ইত্যাদি শেয়ার করতে পারেন এবং তাদের নিজেদের পাবলিক ফোরাম হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন।
ব্লগের সুবিধা কি
ব্লগ একটি ওয়েবসাইট যা একটি ব্লগার বা লেখক দ্বারা মেইনটেইন করা হয়। ব্লগে লেখা হয় বিভিন্ন বিষয়গুলো নিয়ে, সেই বিষয়ে আমাদের মতামত জানানো হয় এবং অভিজ্ঞতা শেয়ার করা হয়।
ব্লগ লেখার সুবিধাগুলো হলো:
১। প্রকাশ করার জন্য খরচ কম: ব্লগ শুরু করতে কোন খরচ লাগে না। একটি ফ্রি ওয়েবহোস্টিং ও ডোমেইন হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
২। কিছুদিনে লেখার স্কিল বৃদ্ধি করা যায়: ব্লগ লেখা শুরু করে সমস্যার মুখোমুখি হলে প্রথমে প্রতিফলন পাওয়া অনেক কঠিন হয়ে উঠতে পারে। তবে কিছুদিন পর পর লেখা শুরু করে স্কিল বৃদ্ধি করা যায় এবং লেখার মাধ্যমে অন্যকে সহায়তা করা যায়।
৩। আপনি আপনার আলোচকদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবেন।
প্রিয় পাঠক ব্লগ নিয়ে কিছুটা পরিষ্কার ভাবে আলোচন করার চেষ্টা করেছি যদি আজকের আলোচনায় কিছুটা হলেও শিক্ষতে পেরেছেন বলে মনে করেন কমেন্ট করে আমাদের কে সহযোগিতা করবেন আশাবাদী। ধন্যবাদ আপনাকে