বর্ষার এক বিকেল। শহরের ব্যস্ততা তখনও থেমে নেই, কিন্তু আকাশভরা মেঘ আর টুপটাপ বৃষ্টির শব্দ যেন চারপাশকে থমকে দিয়েছে। ছাতা মাথায় হেঁটে যাচ্ছে এক তরুণী—নাম তার মায়া।
একজন তরুণ, রাহুল, ভিজতে ভিজতেই ছুটছে একটা বাস ধরার জন্য। পা পিছলে মাটিতে পড়ে যায়। চারপাশের লোকেরা হেসে ওঠে। তখনই মায়া এগিয়ে আসে, হাত বাড়িয়ে দেয়।
“ভিজে গেলে অসুখ হবে,” বলে নিজের ছাতাটা এগিয়ে দেয় মায়া।
সেই ছোট্ট সাহায্যের ভেতর জন্ম নেয় এক নতুন সম্পর্কের বীজ। ধীরে ধীরে দেখা হয় দুজনের—ক্যাফেতে, বইমেলায়, পদ্মার ঘাটে।
মায়া কবিতা ভালোবাসে, রাহুল গান করে। ওদের কথাগুলো কবিতার ছন্দে মিলিয়ে যায়, ওদের হাঁটাগুলো গানের সুরে।
কিন্তু একদিন মায়া জানায়, সে দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে পড়াশোনার জন্য। রাহুল চুপ। সে জানে ভালোবাসা মানে আটকে রাখা নয়, মুক্ত করে দেওয়াই সত্যি।
বিদায়ের দিন রাহুল একটা ছোট্ট চিঠি দেয় মায়াকে:
"তোমার অপেক্ষায় থাকবো না। কারণ জানি, যদি ভালোবাসো, একদিন ঠিক ফিরে আসবে। আর যদি না আসো, তাহলে জানবো আমার ভালোবাসা ছিল নিঃস্বার্থ।"
রাহুল দাঁড়িয়ে থাকে ঠিক সেই জায়গায়, ছাতাটা মাথার ওপর তুলে দেয়...
আর গল্পটা আবার নতুন করে শুরু হয়।