আর্মেনিয়া, একটি দেশ যা দক্ষিণ ককেশাসাস পর্বতমালার উপর অবস্থিত, সাউথ ককেশাসাস পর্বতমালার দক্ষিণে আবতানি পায়, দক্ষিণ গর্জিয়ার, পশ্চিম তুরকমেনিস্তান, উত্তর আজারবাইজান এবং পূর্বে আজারবাইজানের অস্তিত্ব না থাকা নাগোর্নো-কারাবাখ অঞ্চলের সঙ্গে সীমাবদ্ধ। এর রাজধানি এবং বৃহত্তর শহর ইয়েরেভান (Yerevan)। আর্মেনিয়া একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ, এবং এটির ভাষা আর্মেনীয় ভাষা।
আর্মেনিয়ার ইতিহাসে প্রাচীনকাল থেকেই একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূভাগ হয়েছে, এবং এটি বিশেষভাবে আর্মেনীয় আর্মেনিয়ান চার্চের জন্মস্থান। এই দেশটি ক্রিস্টীয়তার একটি প্রাচীন কেন্দ্র ছিল এবং এর ইতিহাসে বিভিন্ন সাম্প্রদায় এবং সরকারি শ্রেণির প্রভাব ছিল। আর্মেনিয়া 1991 সালে সোভিয়েত সংঘের বিচ্ছিন্ন অংশ হয়ে স্বাধীন হয়েছে এবং এরপর তার স্বাধীনতা স্থিতি সংরক্ষণ করেছে। এটি একটি প্রতিষ্ঠান গণরাজ্য হিসেবে পরিচিত এবং আর্মেনিয়ান দায়িত্ব দান করেছে তাদের রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতা, ভাষা, এবং সাংস্কৃতিক আত্ম-প্রতিষ্ঠা।
আর্মেনিয়ার অর্থনীতি মূলত গৃহপাতি এবং শিল্প-শিক্ষায় ভিত্তি রেখেছে, এবং এটির অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল প্রাকৃতিক শক্তি সংস্করণ, বৃদ্ধির সংক্ষিপ্ত ইতিহাস, এবং গ্যাস সরবরাহে আস্থা। এটি একটি ছোট দেশ হওয়া সাথে সাথে মানব সংস্থানের উন্নত বেসরকারি খাতে অবদান রাখে, বিশেষভাবে গোটা দিনে স্বাধীন অর্থনীতি যুক্ত সহযোগিতা এবং প্রযুক্তির ক্ষেত্রে। সংক্ষিপ্ত রূপে, আর্মেনিয়া একটি প্রাচীন দেশ, যা তার ভাষা, সাংস্কৃতি, এবং সামাজিক সংরক্ষণে গর্ব করে এবং গৃহপাতি এবং প্রাকৃতিক সৌশ্রব্যের দিকে গুরুত্ব দেয়। এটির রাজধানি ইয়েরেভান হল একটি মডার্ন শহর এবং এটি একটি সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্যের সাথে প্রাকৃতিক সৌশ্রব্য সম্পন্ন।
আর্মেনিয়া থেকে ইউরোপ
আর্মেনিয়া ইউরোপে সরাসরি অবস্থান করে না, কারণ এটি সাউথ ককেশাসাস পর্বতমালার দক্ষিণে সবচেয়ে পূর্বে অবস্থিত একটি সাউথ ককেশিয়ান দেশ। আর্মেনিয়া ইউরোপের সীমান্তে আছে, কিন্তু এটি প্রাথমিকভাবে এশিয়ান দেশ হিসেবে গণ্য হয়।
আমাদের ইউরোপ সরণীতে, আর্মেনিয়া পাশের দেশে যেতে পারে রশিয়ার গ্রেটর ককেশিয়ান টানেল সাহিত বিভিন্ন সড়ক ও রেলওয়ে যোগাযোগ করে। এছাড়া, আমেনিয়ার স্থানীয় বিমানবন্দরের মাধ্যমে ইউরোপে যেতে সম্ভব।
আর্মেনিয়া ইউরোপে পৌঁছানোর আগে আপনাকে নির্দিষ্ট দেশে যেতে প্রাথমিক যাত্রা করতে হবে, সেই সময়ে আপনি সীমান্ত কন্ট্রোল, ভিসা, এবং অন্যান্য আবশ্যক দলিলপত্র সহ আপনার যাত্রা স্যাডুল করতে পারেন। আপনি যেতে চাচ্ছেন সেই ইউরোপীয় দেশের নির্দিষ্ট কাঙ্খিত গন্যতা ও কন্ডিশনগুলি নিরীক্ষণ করতে সেই দেশের প্রাধিকৃত কৌশলকে মান্যতা দেয় সেটি সংশ্লিষ্ট দূতাবাস বা প্রাধিকৃত অধিকারীদের সাথে যোগাযোগ করার মাধ্যমে সম্পন্ন করতে পারেন।
আর্মেনিয়া টাকার মান
আর্মেনিয়ার আধিকারিক মুদ্রাকে আর্মেনিয়ান Դրամ (AMD) বা Դ symbol-դր (AMD) দ্বারা প্রতিষ্ঠিত করা হয়। তবে, মুদ্রার মান সাময়িকভাবে পরিবর্তন হতে পারে, যাওয়া সম্প্রতির আর্মেনিয়ার অর্থনীতি ও বাজারের পরিস্থিতির সাথে সংযুক্ত।
আপনি সম্প্রতির আর্মেনিয়ান Դրամ (AMD) মুদ্রার মান সম্পর্কে সবচেয়ে নতুন তথ্য জানতে পারেন আর্মেনিয়ার গ্রাহক ব্যাংকে অথবা আর্মেনিয়ান সংবাদ সূত্রের মাধ্যমে, যেগুলি মুদ্রার মৌলিক মান এবং পরিবর্তনের তথ্য সরবরাহ করে।
আর্মেনিয়া ভিসা
আর্মেনিয়া যে দেশে যেতে চান, সেই দেশের ভিসা আবেদনের নির্দিষ্ট নিয়মাবলী আছে। এই নিয়মাবলী দেশের ভিসা নির্ধারণ করে, সেই দেশের কৌশল এবং আর্মেনিয়ান নাগরিকের বর্তমান স্থানে নির্দিষ্ট কাজ ও অবস্থা অনুসরণ করে। তবে, সাধারণভাবে আর্মেনিয়ান নাগরিকের ভিসা আবেদনের সাথে নিম্নলিখিত দলিলপত্র সাবমিট করতে হতে পারে:
1. একটি ভিসা আবেদন ফর্ম।
2. পাসপোর্ট (যেখানে স্থায়ী ঠিকানা ও ছবি থাকতে হবে)।
3. ভিসা আবেদন ফি পরিশোধের প্রতিষ্ঠান যেখানে প্রয়োজন হবে।
4. গুরুত্বপূর্ণ দলিলপত্র যেমন আপনার আর্মেনিয়ান যাত্রাপাতি কার্যক্রম, কাজের নিবন্ধন, শিক্ষা যাত্রা, বা আর্মেনিয়ান পরিবারের সম্পর্কে তথ্য দেওয়া যেতে পারে।
5. ভিসা আবেদনের সময় নির্দিষ্ট স্বাস্থ্য যত্নের নথি প্রদান করতে হতে পারে, যেমন টুবার্কুলোসিস পরীক্ষা রিপোর্ট, নির্দিষ্ট টীকা বৈদ্যবিদ স্বাক্ষরিত প্রমাণপত্র, ইত্যাদি।
6. আর্মেনিয়ান ভিসা আবেদনে প্রয়োজন হলে আর্মেনিয়ান দূতাবাসে আর্মেনিয়ান ভিসা আবেদন ফর্ম সাবমিট করতে হতে পারে। সেইসাথে, আপনি যে দেশে যাবেন তা নির্দিষ্ট করা মানে, ভিসা ধরন এবং সাবমিট করতে হলে আর্মেনিয়ান দূতাবাস অথবা সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাসে যোগাযোগ করুন। ভিসা আবেদনের প্রক্রিয়া সম্পর্কে সঠিক তথ্য এবং নির্দিষ্ট নির্দেশনা জানতে সর্বাধিক উপযুক্ত দূতাবাসে যোগাযোগ করাটি সুপরিস্থিত।
সাধারণভাবে, ভিসা আবেদনের সময় সবচেয়ে ভিসা সংশ্লিষ্ট দূতাবাস বা কনসুলেটেট অফিসে যোগাযোগ করুন যেখানে আপনি যাচ্ছেন। আবেদনের সময়, আপনার যাত্রার উদ্দেশ্য, স্থায়ী ঠিকানা, যাত্রার প্রকৃতি, এবং অন্যান্য আবশ্যক তথ্য দিতে হতে পারে। ভিসা আবেদনের ফি, স্থিতির উপর নির্ভর করে সবসময় পরিবর্তন হতে পারে, সুতরাং সর্বোচ্চ দাখিল ফি সম্পর্কে নির্দিষ্ট তথ্য জানানো গুরুত্বপূর্ণ।
ভিসা আবেদনের সময় নির্দিষ্ট নিয়মাবলী এবং আপনার যাত্রাপাতির ধরণ নির্ধারণ করার জন্য আর্মেনিয়ার গ্রাহক দূতাবাস বা আর্মেনিয়ান ভিসা ও মাইগ্রেশন সেন্টারের সাথে যোগাযোগ করতে সুপরিস্থিত হন।
আর্মেনিয়া মুসলিম জনসংখ্যা
2021 সালের পিউ রিসার্চ সেন্টারের তথ্যে মোট 3,038 জন মুসলিম বাসিন্দা আর্মেনিয়ায় বসবাস করছেন, যা আর্মেনিয়ার মোট জনসংখ্যার মাত্র 0.01%। এই আংশিক সংখ্যা আর্মেনিয়ায় ইসলাম ধর্ম অনুসরণ করেন বলে প্রতিপাদিত হয়। আর্মেনিয়া একটি প্রধানভাবে ক্রিস্টীয় দেশ হওয়া সাথে সাথে এই সংখ্যা খুব ছোট।
আর্মেনিয়া কাজের ভিসা
আর্মেনিয়ান কাজের ভিসা বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য সাধারণভাবে প্রদান করা হয় না। আর্মেনিয়া যেসব দেশে কাজের ভিসা প্রদান করে সেটি তাদের আর্মেনিয়ান দূতাবাস এবং কনসুলেট অফিসের ওয়েবসাইট এবং মাইগ্রেশন সেন্টারের সাথে যোগাযোগ করে জানতে পারেন। সাধারণভাবে, যদি আপনি আর্মেনিয়ায় কাজ করতে আগ্রহী হন, তবে আপনাকে আর্মেনিয়ান কাজের ভিসা অ্যাপ্লিকেশনের প্রয়োজনীয় শর্ত ও প্রক্রিয়া সম্পর্কে নির্দিষ্ট তথ্য জানতে হবে। আর্মেনিয়ান সফর এবং কাজের ভিসা সংক্ষেপের জন্য আপনি আর্মেনিয়ান দূতাবাস এবং কনসুলেট অফিসের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
আর্মেনিয়া ধর্ম
আর্মেনিয়া একটি প্রধানভাবে খ্রিস্টান দেশ, এবং বৃহত্তরাংশ আর্মেনিয়ান লোক অর্থোডক্স খ্রিস্টান। অর্থোডক্স খ্রিস্টান ধর্মের পক্ষ থেকে ধার্মিক প্রথানাগুলির পর্যায়ে আর্মেনিয়ান পূর্বপ্রধান, এবং আর্মেনিয়ান অর্থোডক্স চার্চ আর্মেনিয়ার প্রধান খ্রিস্টান গুম্বজ।
আর্মেনিয়ান অর্থোডক্স চার্চের ধর্মের প্রকার হল: এক্যুমেনিক্যাল অর্থোডক্স চার্চ: এই ধর্মে মূলভাবে আর্মেনিয়ান পূর্বপ্রধান খ্রিস্টান প্রথা অনুসরণ করা হয়, এবং এই চার্চটি আর্মেনিয়ান ধর্ম এবং সংস্কৃতির প্রতি একটি গভীর সম্মর্পণ দেখায়।
আর্মেনিয়াতে এই ধর্ম খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং সামাজিক সাংস্কৃতিক ঘটনার অংশ, এবং অনেক ধর্মীয় উৎসব ও পর্ব সম্পন্ন করা হয়। আর্মেনিয়ান লোকের ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও চুর্চ প্রদর্শন এই দেশের ধর্মিক সাংস্কৃতিক জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। পৃথিবীর সকল দেশে