পিরামিড: সবচেয়ে বেশি পিরামিড কোন দেশে

পিরামিড, কোন,
Image by Marco Torrazzina from Pixabay

সবচেয়ে বেশি পিরামিডের মালিক দেশ সুদানঃ

পিরামিড স্বাধীন কুশ রাজ্যের কার্যকালে প্রধানতম তৈরি হয়েছিল সুদানে। এই পিরামিডগুলো প্রায়শই সুদানের নিলস নদীর উপত্যকায় অবস্থিত। সুদানের পিরামিডগুলোর অবশেষ সংখ্যা প্রায় ২৫৫ হলেও, এই সংখ্যা পরিবর্তনশীল হতে পারে কারণ অনেকগুলো পিরামিড এখনও খুঁজে পাওয়া হয়নি। এই দেশের পিরামিডগুলো খ্রিস্টপূর্ব ১৪শ শতাব্দী থেকে ১৭শ শতাব্দী এবং বর্তমান সময়ের মধ্যে নির্মিত হয়েছে।

Image by Pete Linforth from Pixabay

মিসরের পিরামিডগুলোর সংখ্যা ১৩৮ হলেও, সেখানে প্রধানতম পিরামিডটি সফলতার সাথে পরিচালিত হয়েছিল এবং তা এখনও পর্যন্ত মহাপ্রাচীরে রয়েছে। মিসরের পিরামিডগুলো প্রায়শই গিজারের রাজা তানা করে তৈরি হয়েছিল এবং মিসরের পিরামিডগুলো অত্যন্ত সুন্দর এবং অদ্বিতীয় প্রাচীন মানব নির্মিতির উদাহরণ। তাদের মধ্যে প্রধানতম পিরামিড হল গিজা পিরামিড কমপ্লেক্স, যা কিং খুফু নামেও পরিচিত। এটি মিসরের প্রাচীনতম পিরামিড এবং মানবকে বিশ্বব্যাপী আদর্শ প্রযুক্তির সাম্রাজ্যের জন্য স্মরণীয় করে। গিজা পিরামিড কমপ্লেক্সে সময় প্রতিষ্ঠান করেছিলেন ফারাও খুফু, এবং এটি তিনটি মহাকর্ষ পিরামিডের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছিল।

সুদানের পিরামিডগুলো প্রধানতমত খ্রিস্টপূর্ব অবদানের সময় কুশ রাজাদের শাসনামলে তৈরি হয়েছিল। এদের পরিচালনায় কুশ রাজাদের ধারণকারীদের জন্য স্মার্ট আরাম স্থান সৃষ্টি হয়েছিল এবং পিরামিডগুলোর ভিত্তিতে একটি প্রাচীন নগর গঠিত হয়েছিল।

সুদানের পিরামিডগুলোর বিশেষত্ব হল তাদের আকৃতি এবং গঠনে। মিসরের পিরামিডগুলোর মতো সুদানের পিরামিডগুলোও প্রাচীন মানব প্রযুক্তির চমৎকার সাম্রাজ্যের প্রতীক। সেগুলো কাঁচামাল বা পাথরের ব্লকগুলো ব্যবহার করে নির্মিত হয়েছিল। সুদানের পিরামিডগুলোর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল তাদের উচ্চতা এবং সংখ্যা। প্রায় পিরামিডের একটি কাঁচামাল সামগ্রীতে আঠারো টন ওজন হতে পারে। সুদানের পিরামিডগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিতে গঠিত হয়েছিল, যার মাধ্যমে এদের স্থায়ীত্ব বজায় রাখা হয়।

সুদানের পিরামিডগুলো পরিস্কার জীবন্ত মার্কস দেখতে আকর্ষণীয় হলেও, এদের উদ্দেশ্য একই মিসরের পিরামিডগুলোর মতো চিরন্তন রাজাদের অবস্থানের জন্য নয়।

সুদানের পিরামিডগুলো কুশ সাম্রাজ্যের রাজাদের স্মারক এবং মার্কস হিসাবে ব্যবহৃত হতে পারে। এদের নির্মাণে মূলত বাটিক বা জমকাল শিল্প ব্যবহৃত হয়েছিল। সুদানের পিরামিডগুলোর সংখ্যা অপেক্ষাকৃত বেশি হলেও, এদের মধ্যে অনেকগুলো পিরামিড অবশিষ্ট থাকলেও কেউই এখনও সম্পূর্ণ জানতে পারে না এবং এদের ভেতরে অনেক অজানা এলাকা বিদ্যমান। পিছনে সুদানের পিরামিডগুলোর ভেতরে চমকে উঠেছে বিশাল গল্পময় প্রাচীন ঐতিহ্যিক সংস্কৃতি, যা আমাদেরকে কিছুটা জানতে পারায়।

সুদানের পিরামিডগুলো একটি বিশাল ঐতিহ্যিক ধর্মস্থল হিসাবেও পরিচিত। কুশ সাম্রাজ্যের কালে এদের ব্যবহার হতো ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতার জন্য। এই পিরামিডগুলোর মধ্যে রয়েছে মূলত রাজাদের মসজিদ, আনুষ্ঠানিক প্ল্যাটফর্ম, ধর্মীয় চিহ্নিত অঙ্গন, সংস্কৃতিক আরাম ঘর এবং অন্যান্য ঐতিহ্যিক আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় স্থানাঙ্কে সংযোগ করার জন্যের রাস্তা সিস্টেম থাকতো। পরিস্কার ধর্মীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতীক হিসাবে, সুদানের পিরামিডগুলো একটি গৌরবময় ঐতিহ্যিক ও পর্যটন স্থল হিসাবেও পরিচিত।

সুদানের পিরামিডগুলো আর্কিটেকচার ও ঐতিহ্যিক গবেষণার জন্য অবশ্যই মানবজনিত অবদান প্রদান করেছে। এদের মাধ্যমে আমরা প্রাচীন ঐতিহ্যিক সংস্কৃতির অপরিসীম অংশগুলোকে অনুধাবন করতে পারি এবং আমাদের পূর্বের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের উপর গভীর ভাবে চিন্তা করতে পারি। সুদানের পিরামিডগুলো প্রাচীন মানবজনিত ক্ষমতা ও সমৃদ্ধ ঐতিহ্যিক সম্পদের প্রমাণ।

সূত্রঃ
আমি এই তথ্যটি বিভিন্ন উৎস থেকে সংগ্রহ করেছি এবং তা বাংলাদেশের ওয়েবসাইটগুলি, ঐতিহ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলি এবং অন্যান্য সমমান্য উৎসগুলি থেকে নেওয়া হয়েছে। যদি আপনি এই তথ্যটির সমমান্য উৎস চান বা সংশোধন করতে চান, তবে সেটি প্রমাণ করতে সাহায্য করুন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

"আপনার মতামত দিতে নিচে ফর্ম পূর্ণ করুন। আমরা এটি পর্যালোচনা করব এবং যথা সময়ে উত্তর দেওয়া হবে। "

নবীনতর পূর্বতন