আর্সেনিক: আর্সেনিকের প্রভাবে কি রোগ হয়

আর্সেনিক রোগের চিকিৎসা, আর্সেনিক রোগ,

আর্সেনিকের প্রভাব ও রোগ

আর্সেনিক একটি বিষাক্ত ধাতু যা মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। যখন আর্সেনিকের মাত্রা অনেক বেশি হয়, তখন মানবদেহে আর্সেনিক বিষক্রিয়া হয় এবং এটি বিভিন্ন রোগের উৎপাদক হতে পারে। দীর্ঘসময় আর্সেনিকযুক্ত পানিখাওয়া একটি প্রধান উৎস হয়ে থাকলে এই রোগের লক্ষণগুলি দেখা যায়। এই রোগের লক্ষণ হতে পারে জ্বর, বমি, মাথা ব্যথা, শরীরে অস্বাভাবিক ব্যথা, রক্তে আমাশয় এবং উদরাময়কে।


আর্সেনিক কি:

আর্সেনিকের প্রতীক হলো "As"। এর পারমাণবিক সংখ্যা ৩৩ এবং পারমাণবিক ভর ৭৪.৯২১৬ ইউনিট (u)। আর্সেনিক একটি অর্ধধাতু বা উপধাতু হিসাবে পর্যায় সারণীর চতুর্থ পর্যায়ে, পঞ্চদশ গ্রুপে অবস্থিত। এর গলনাঙ্ক ৮১৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আর্সেনিক সাধারণত ধূসর রঙের হয়। আর্সেনিকের বিভিন্ন রূপ বিদ্যমান, কিন্তু শিল্পক্ষেত্রে ধূসর রঙের আর্সেনিকটি গুরুত্বপূর্ণ হয়। আর্সেনিক একটি খুবই জটিল এলিমেন্ট যা বিশেষত প্রয়োগ পায় পারমাণবিক ওষুধ, বিজ্ঞান, ও শিল্প ক্ষেত্রে।

আর্সেনিক যুক্ত পানি চেনার উপায়:

আর্সেনিক যুক্ত পানি চেনার জন্য ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডন এবং ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের গবেষকরা একটি সেন্সর তৈরি করেছেন। এই সেন্সর দিয়ে প্রতিবার ১ পাউন্ডের চেয়েও কম খরচে পানিতে আর্সেনিকের মাত্রা পরীক্ষা করা যায়। এই প্রযুক্তি বর্তমানে বাংলাদেশে ফিল্ড ট্রায়ালে আছে এবং আগামী তিন বছরের মধ্যে বাজারে আসতে পারে। বাংলাদেশে আর্সেনিকযুক্ত পানির দূষণের কারণে মানুষের স্বাস্থ্য সমস্যা হচ্ছে, যেমন চামড়ার ক্ষত এবং ক্যান্সার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হিসাবে প্রায় এক কোটি ৪০ লাখ মানুষ অনিরাপদ আর্সেনিকযুক্ত পানি পান করছেন।

আর্সেনিক রোগের চিকিৎসা:

আর্সেনিক রোগের চিকিৎসা করার জন্য সবচেয়ে প্রধান বিকল্প হলো আর্সেনিকমুক্ত পানি ব্যবহার করা। এছাড়াও কিছু ভিটামিন এবং ওষুধ চামড়ার রুক্ষতা এবং ঘা নিরাময়ে কাজ করতে পারে।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

"আপনার মতামত দিতে নিচে ফর্ম পূর্ণ করুন। আমরা এটি পর্যালোচনা করব এবং যথা সময়ে উত্তর দেওয়া হবে। "

নবীনতর পূর্বতন