বাত রোগ পরিচিতি এবং প্রতিরোধে করনীয় সমূহ

বাত রোগ হল একটি নামকরণ যা সংশ্লিষ্ট মহাদেব শক্তির দ্বারা কর্মশালী জন্তুদের উত্পাদিত হয়। বাত রোগের উপস্থিতি স্থায়ী নয় এবং ব্যক্তির বয়স, আহার ও পরিবেশের প্রভাব দেখা যায়। এটি সাধারণত যুক্তি শক্তির পরিবর্তন হলে ঘটে যায়।

বাত রোগের সাধারণ লক্ষণ হল পিছনে থেকে স্বাভাবিক পদক্ষেপ বন্ধ হওয়া, হাত বা পা অকদার হওয়া, পেশীগুলি টান হওয়া এবং ব্যথা হওয়া। বাত রোগ ব্যক্তির জীবনের গুণগত স্বাস্থ্য ও কাজের সমতুল্যকে প্রভাবিত করতে পারে।

বাত রোগের চিকিত্সার জন্য আয়ুর্বেদিক চিকিত্সা ও হোমিওপ্যাথি চিকিত্সা ব্যবহার করা হয়। আয়ুর্বেদিক চিকিত্সা বাত রোগের চিকিত্সার জন্য জাদুকরী চিকিত্সা হিসাবে পরিচিত হয়।

বাত রোগের আয়ুর্বেদিক চিকিত্সার মধ্যে রস শোষক চিকিত্সা, বস্তি চিকিত্সা এবং স্নায়ু চিকিত্সা অন্তর্ভুক্ত থাকে।

রস শোষক চিকিত্সা ব্যবহার করে শরীরের অতিরিক্ত পোষক তত্ত্ব বা আমা কমানো হয়। এই চিকিত্সা মূলত শরীরের বৃদ্ধি করা রস নিষ্কাশনের মাধ্যমে কাজ করে। রস শোষক চিকিত্সার মাধ্যমে বাত রোগের লক্ষণ হল ব্যথা ও উঁচু দান্ত সংশ্লিষ্ট মাংসপেশীতে কমে যায়।

বস্তি চিকিত্সা ব্যবহার করে শরীরের প্রভৃতি বা সঙ্কোচন শক্তি সংশ্লিষ্ট মাংসপেশীতে বৃদ্ধি করা হয়। এটি প্রভৃতি বা সঙ্কোচন শক্তির জন্য ব্যবহৃত জোড়া কাজ করে।

জি হাঁ, বাত রোগে ঔষধ ছাড়াও আরও কিছু পদক্ষেপ নেয়া যায় যেগুলো কিছুটা ঔষধের ব্যাপারের তুলনায় প্রাধান্যপূর্ণ। কিছু পদক্ষেপ হলোঃ

১। নিয়মিত ব্যায়াম করা। ব্যায়াম করে শরীর তানাবেন এবং বাত রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করবে।

২। স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া। নিয়মিত ভিটামিন ও খনিজসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া এবং পর্যাপ্ত পানি পান করা বাত রোগের প্রতিরোধে সাহায্য করবে।

৩। প্রতিদিন শ্বাস-প্রশ্বাস ব্যবহারের মাধ্যমে মানসিক তানাব কমানো। ব্যাক্তির মানসিক তানাব কমানো বাত রোগের সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে।

৪। তন্দ্রাচ্ছন্নতা থেকে দূর থাকা। তন্দ্রাচ্ছন্নতা বা নিদ্রাসমস্যা বাত রোগের লক্ষণ প্রবৃদ্ধি করতে পারে।

৫। শ্বাসকষ্ট বা শ্বাসতন্ত্রে কোন সমস্যা থাকলে সেই সমস্যা নির্মূল করতে চাইলে।

৬। নিয়মিত পরিমিত দিনের পরিমিত সময় পরিবর্তন করে জীবনযাপন করা যাবে। দিনটি নিয়মিত শুরু করতে হবে এবং দিনের সময়কে নিয়মিত রাখতে হবে এবং একটি নির্দিষ্ট সময়ে বিশ্রাম নেওয়া উচিত।

৭। বাত রোগের লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের কাছে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া উচিত। একটি প্রফেশনাল চিকিৎসক যদি এই রোগের উপর স্পেশালাইজ্ড হয় তবে তার চিকিৎসা আরো ভাল হবে।

৮। পানি খুব উপকারী হতে পারে। নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করে পর্যাপ্ত পানি পান করা বাত রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।

৯। জানিয়ে দিতে হবে যে বাত রোগ একটি ক্রোনিক রোগ হতে পারে এবং এর সম্ভাবনা বৃদ্ধি করতে পারে। সুস্থ রাখার জন্য নিয়মিত ডক্টরের পরামর্শ অনুসরণ করা উচিত

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

"আপনার মতামত দিতে নিচে ফর্ম পূর্ণ করুন। আমরা এটি পর্যালোচনা করব এবং যথা সময়ে উত্তর দেওয়া হবে। "

নবীনতর পূর্বতন