লেখক: ChatGPT
রাত দশটার পর প্ল্যাটফর্ম প্রায় ফাঁকা হয়ে যায়। লোকজন বাড়ি ফিরে গেছে, দোকানপাট বন্ধ। শুধু মাঝে মাঝে হকারের চিৎকার শোনা যায়।
রাহুল আজকেও শেষ ট্রেন ধরবে। গত এক মাস ধরে সে প্রতিদিন অফিস শেষে এই শেষ ট্রেনে চড়ে বাড়ি ফেরে। আগে এমনটা হতো না। অফিসের কাজ শেষ করে সে তাড়াতাড়ি বাসে চড়ত, সন্ধ্যায় মায়ের সঙ্গে বসে খেত।
কিন্তু এখন মায়ে নেই। হাসপাতালের শেষ বিল মেটানোর জন্য বাড়ির সব জিনিস বিক্রি করে দিয়েছে। রাত দিন কাজ করে যায় সে, যেন নিজের দুঃখগুলো ভুলে থাকতে পারে।
আজকের রাতটা একটু অন্যরকম। প্ল্যাটফর্মে একটা ছোট মেয়ে দাঁড়িয়ে, হাতে ছেঁড়া পুতুল। চোখে জল, কিন্তু চুপচাপ। রাহুল কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করল, "তোমার বাড়ি কোথায়?"
মেয়েটি বলল না কিছুই, শুধু একটা ট্রেনের দিকে তাকিয়ে রইল।
শেষ ট্রেনটা যখন ঢুকল, রাহুল তার হাত ধরল।
— "চলো, খুঁজে দেখি তোমার বাড়ি কোথায়।"
রাহুল বুঝল, কেউ একজন আজ তার নিজের একাকীত্ব ভেঙে দিয়েছে। শেষ ট্রেন এবার হয়তো শুরু হতে যাচ্ছে এক নতুন গল্পের।
গল্পের বর্ণনা:
"শেষ ট্রেন" গল্পটি একজন যুবক রাহুলের একাকীত্ব, জীবনসংগ্রাম এবং সহানুভূতির কাহিনি। শহরের ব্যস্ত জীবনে একঘেয়েমি ও ব্যক্তিগত শোক তাকে নিঃসঙ্গ করে তুলেছে। প্রতিদিন অফিস শেষে সে শেষ ট্রেনে বাড়ি ফেরে, কারণ সেখানেই যেন তার একাকীত্বের একটা নিঃশব্দ আশ্রয় আছে।
এক রাতে সে প্ল্যাটফর্মে এক ছোট মেয়েকে দেখতে পায়, যার চোখে ভয় আর দৃষ্টিতে কিছু বলার আকুতি। সেই মুহূর্তে রাহুল সিদ্ধান্ত নেয় মেয়েটিকে সাহায্য করার—শুধু তার জন্য নয়, নিজের জীবনের অর্থও খুঁজে পাওয়ার আশায়।
এই গল্পটি মানবিক সম্পর্ক, সহানুভূতি এবং নতুন শুরু পাওয়ার এক নীরব বার্তা দেয়।