অ্যাঙ্গোলা সম্পর্কে বিস্তারিতঃ
অ্যাঙ্গোলা মধ্য আফ্রিকার পূর্ব ক্ষেত্রে অবস্থিত একটি দেশ। রাজধানী লুয়ান্ডা। অ্যাঙ্গোলা একটি সার্বজনীন গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র, যা মধ্যশক্তি দেশ এবং একটি ভারত মহাসাগর সীমান্তের দেশ। এটি আফ্রিকার অধিকাংশ দেশের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশ নয়, তবে এখানে উপস্থিত প্রাকদর্শনী সম্পদ এবং বিশাল নেতৃত্বের উপস্থিতি সেই দিক থেকে দেশের উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।
- রাজধানী: লুয়ান্ডা
- ডায়ালিং কোড: +২৪৪
- মুদ্রা: এংগোলীয় কোয়ানজা
- জনসংখ্যা: ৩৪.৫ মিলিয়ন (২০২১) বিশ্ব ব্যাংক
- সরকারি ভাষা: পর্তুগীজ
- মহাদেশ: Africa
- এলাকা: ১,২৪৭,০০০ km²
অ্যাঙ্গোলা মুক্তি প্রাপ্তির পর থেকে এটি অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে প্রবল গতিতে এগিয়ে এসেছে। অ্যাঙ্গোলার অর্থনৈতিক বিকাশের উপায় হল মূলত খনিজ ও তালতল সম্পদ এবং এর উপর নির্ভর করে তেল একটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ মাল্যের নিখুঁত সরবরাহ করে যা পৃথিবীর প্রায় সমস্ত দেশের সাথে।
অ্যাঙ্গোলার আবশ্যকতামূলক খাদ্য এবং গোড়ালি পশু উৎপাদনের জন্য একটি শক্তিশালী কৃষি উন্নয়ন খণ্ডও রয়েছে। অ্যাঙ্গোলা পরিসংখ্যানে দুনিয়ার দশটি সবচেয়ে বৃহত দেশের মধ্যে একটি। এটি মোট এক কোটির বেশি জনসংখ্যা এবং একটি বৃহত্তম অ্যাফ্রিকান দেশ হিসাবে বিশ্বে দ্বিতীয় পদকে আছে।
অ্যাঙ্গোলার অর্থনৈতিঃ
অ্যাঙ্গোলার অর্থনৈতিক উন্নয়নের উপর কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে, যা বিভিন্ন দেশ এবং অর্থনৈতিক সংগঠনের মধ্যে সম্পাদিত হয়েছে। অ্যাঙ্গোলার অর্থনৈতিক উন্নয়ন পর্যবেক্ষণের পর প্রশংসা পেয়েছে এবং এটি আরও বেশি উন্নয়ন করতে ব্যবস্থাপনা করেছে।
সম্প্রতি, অ্যাঙ্গোলা ব্যাংকের কাছে জমা করা টাকার মোট পরিমাণ ১৩ বিলিয়ন ডলার ছিল,
অ্যাঙ্গোলা একটি মুক্ত দেশ এবং এর রাজনৈতিক পদ্ধতি প্রেসিডেন্টিয়াল প্রণালী উপর ভিত্তি করে। বর্তমানে এর প্রেসিডেন্ট জোসে এদুডো দক্ষিণ আফ্রিকার লিডারদের মধ্যে একজন।
অ্যাঙ্গোলা বিভিন্ন প্রকারের প্রাকৃতিক সম্পদ সম্পন্ন একটি দেশ, যেমন খনিজ, তেল এবং গ্যাস। এছাড়াও দক্ষিণ আফ্রিকার একটি বিশাল শহুর সাথে অ্যাঙ্গোলার পূর্ব সীমান্ত রয়েছে।
সামাজিক দিক থেকে, অ্যাঙ্গোলার একটি বিশেষভাবে মেয়েদের অধিকার সম্পর্কে কথা বলতে হবে। এটি পুরুষদের মধ্যে বেশি উচ্চতা সম্পন্ন হওয়া স্থানে মেয়েদের অধিকারে একটি লঙ্ঘনকারী দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে।
অ্যাঙ্গোলার অর্থনীতি প্রধানতঃ
তেল এবং খনিজ উপস্থিতির উপর নির্ভর করে। এটি প্রধানতঃ চীন, অমেরিকা এবং হিউস্টন কোম্পানি এর সাথে তেল খনি উন্নয়ন করে।
পরিবেশের দিক থেকে অ্যাঙ্গোলার একটি অগ্রণী দেশ, যেখানে বৃষ্টিপাত বেশি হওয়ার কারণে একটি প্রাকৃতিক সমস্যা হল বন্যা। এছাড়াও এখানে পর্যটন কেন্দ্র অনেক আছে এবং এটি প্রাকৃতিক উদ্যান এবং উপনগরণ বিপুল সম্পদে অভিভূত।
পরিবেশের দিক থেকে অ্যাঙ্গোলার একটি অগ্রণী দেশ, যেখানে বৃষ্টিপাত বেশি হওয়ার কারণে একটি প্রাকৃতিক সমস্যা হল বন্যা। এছাড়াও এখানে পর্যটন কেন্দ্র অনেক আছে এবং এটি প্রাকৃতিক উদ্যান এবং উপনগরণ বিপুল সম্পদে অভিভূত।
অ্যাঙ্গোলার সংস্কৃতিঃ
অ্যাঙ্গোলার সংস্কৃতি একটি মিশ্র সংস্কৃতি এবং এটি বিভিন্ন ভাষার সংমিশ্রণ দেখায়। এটি পোর্চুগিজ, আফ্রিকান, বান্দা এবং ভান্ডান্ডি সংস্কৃতি সমন্বয় করে। অ্যাঙ্গোলার খাবার সংক্রান্তে স্পেশালিটি হল বারবিকিউ মাছ এবং চিকেন পেরিপেরি।
অ্যাঙ্গোলার ইতিহাসঃ
অ্যাঙ্গোলার ইতিহাস একটি প্রাচীন ইতিহাস এবং এটি প্রাচীন আফ্রিকান সংস্কৃতি এর অংশ। ইউরোপীয় স্থাপত্য প্রভৃতি এর উপস্থিতিতে অ্যাঙ্গোলা একটি কলোনি হিসেবে গণ্য হয়। এরপর এর ইতিহাসে বিভিন্ন সাম্রাজ্য এবং স্বাধীনতা আন্দোলন ঘটেছে।
বিশ্বযুদ্ধের সময়ে অ্যাঙ্গোলাঃ
বিশ্বযুদ্ধের সময়ে, অ্যাঙ্গোলা পোর্তুগিজ কলোনি ছিল এবং পোর্তুগিজ সরকার প্রথমবারে এখানে একটি শিক্ষা পদ্ধতি শুরু করে। এরপর অ্যাঙ্গোলা স্বাধীনতা লাভ করে এবং পরে সোশ্যালিস্ট সরকার রাজনীতি চালানো হয়। তবে এরপরে অ্যাঙ্গোলা একটি ব্যস্ত গ্রাম্য অর্থনীতি পালন করে এবং তেল এবং খনিজ খনন এবং উন্নয়ন এর সাথে পুনর্বাসন করে এখন একটি উন্নয়নশীল দেশ।
অ্যাঙ্গোলাতে প্রথম উপনিবেশ:
অ্যাঙ্গোলা একটি দক্ষিণ আফ্রিকান দেশ যা ১৫শ শতাব্দীতে পর্যন্ত বিভিন্ন কম্পানিসহ প্রায় একশো বছর ধরে পর্তুগীজ আওতাধীন ছিল। অ্যাঙ্গোলা উপনিবেশের প্রথম প্রয়াস পর্তুগীজ কম্পানির দ্বারা ১৫১৫ সালে ঘটে। পরবর্তী দশকে পর্তুগীজ অ্যাঙ্গোলা সম্পর্ক উন্নয়নে নিরবিচ্ছিন্ন চেষ্টা করে। ১৮শ শতাব্দীতে অ্যাঙ্গোলা একটি পর্তুগীজ উপনিবেশ হিসেবে গড়ে উঠে এবং ১৯শ শতাব্দীতে এটি পর্তুগীজ কার্যকর দক্ষিণ আফ্রিকার বিস্তৃত অঞ্চলের অন্যতম অধিক দুরস্থ উপনিবেশ হিসেবে বিকাশ করে।
অ্যাঙ্গোলা ধর্মঃ
অ্যাঙ্গোলা একটি দক্ষিণ আফ্রিকান দেশ এবং এখানে বৈদিক ধর্ম, ইসলাম এবং খ্রিস্টান ধর্মের প্রভাব প্রচলিত হয়। এছাড়াও অ্যাঙ্গোলা একটি মুসলিম আইন এবং আদর্শ শাসন এবং একটি সেকুলার রাষ্ট্র।
অ্যাঙ্গোলার বৈদিক ধর্ম হল সাধুবাদি, যা হিন্দুধর্ম এবং বৌদ্ধধর্মের মধ্যে প্রচলিত হয়। এছাড়াও বৌদ্ধ মত এখানে অনেকটা প্রচলিত।
অ্যাঙ্গোলার ইসলামঃ
অ্যাঙ্গোলার ইসলাম এবং খ্রিস্টান ধর্মের প্রচলন হল দক্ষিণ আফ্রিকার কিছু অন্য দেশের মতো হল উত্তর আফ্রিকার ইসলাম এবং খ্রিস্টান ধর্মের সাথে প্রচলিত সম্পর্ক।
এছাড়াও অ্যাঙ্গোলা একটি সেকুলার রাষ্ট্র হওয়ার কারণে বিভিন্ন ধর্মের লোক একসাথে একত্ব এবং সহযোগিতা সাধন করে থাকেন।
অ্যাঙ্গোলা মানচিত্র:
আপনি নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে অ্যাঙ্গোলা মানচিত্রের সাথে সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য পেতে পারেন।
https://www.google.com/maps/place/Angola/
Tags
TRAVEL AND TOURISM